Header Ads

Header ADS

Computer Fast করার উপাই।

Computer Fast করার উপাই।


এখনকার
যুগে কম্পিউটার ছাড়া আমাদের প্রায় চলে না বলা চলে। আর এই কম্পিউটার যদি ফাস্ট কাজ না করে তখনই আমাদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। রাগ হয়, কম্পিউটার ভেঙে ফেলতে ইচ্ছা হয়, নিজের উপর রাগ হয় ইত্যাদি। আজকে আমি কিছু টিপস শেয়ার করবো যার মাধ্যমে আপনারা কম্পিউটারকে স্লো থেকে কিছুটা হলেও ফাস্ট করতে পারবেন।
কম্পিউটার ফাস্ট করার জন্য এর হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন ভালো হতে হবে। আমার এই টিপস গুলো পড়ে এটা ভাববেন না যে আপনারা কম কনফিগারেশনের কম্পিউটার কেউ সুপারফাস্ট করে ফেলতে পারবেন। মনে করুন আপনি কম্পিউটার কেনার পরে যেরকম পারফরম্যান্স পাচ্ছিলেন অনেক দিন ব্যবহার করার পরে সেই রকম পারফরম্যান্স পাচ্ছেন না। তাহলে কি কি উপায় অবলম্বন করলে আপনার কম্পিউটারটি আগের মত ফাস্ট হবে/কাছাকাছি হবে আমি সেই ধরনের কিছু টিপস শেয়ার করব।

১। আমরা যখন কম্পিউটারে কাজ করি তখন যে অ্যাপ্লিকেশনগুলো ওপেন করি প্রত্যেকটি অ্যাপ্লিকেশনের একটি টেম্পোরারি ফাইল কম্পিউটার তৈরি করে, যেটা C ড্রাইভের Temp নামে একটি ফোল্ডারে জমা হয়। এই ফাইল গুলো অনেক বেশি হয়ে গেলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। তেমনি ভাবে Recent এবং Prefetch নামে আরো ফোল্ডার আছে যেগুলোতে আমরা যখন কোন কাজ করি সেই কাজের একটি টেম্পোরারি ফাইল বা ব্যাচ ফাইল তৈরি করে। যার ফলে সিস্টেম অনেক ভারী হয়ে যায় এবং স্লো কাজ করে। এর জন্য আপনারা প্রতিনিয়ত কাজ করার পরে এই ফোল্ডার গুলো থেকে যে টেম্পোরারি ফাইলগুলো থাকবে সেগুলো ডিলিট করে দিবেন অথবা CCleaner নামে একটি সফটওয়্যার আছে যেটা ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই সব ফাইলগুলো ডিলিট করে ফেলতে পারবেন।

২। আপনি যদি পিসিতে অপ্রয়োজনীয় এনিমেশন এবং ভিজুয়াল ইফেক্ট দিয়ে আপনার ডেক্সটপ সাজান তাহলে এটার কারণে আপনার পিসির গতি অনেক কমে যাবে। তাই পিসির গতি বা পারফরম্যান্স ঠিকঠাক রাখার জন্য আকর্ষণীয় থিম এবং অ্যানিমেশন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

৩। আপনি যদি আপনার কম্পিউটারে কোন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে না থাকেন, তাহলে খুব দ্রুত কোনো ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন এবং প্রতিদিন স্ক্যান করুন। কারণ ভাইরাস আপনার পিসিকে অনেক স্লো করে দিতে পারে। যদি আপনি উইন্ডোজ ১০ এর লাইসেন্স ভার্সন ব্যবহার করেন তাহলে এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার না হলেও চলবে। কারণ উইন্ডোজ ১০ এর উইন্ডোজ ডিফেন্ডার, এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামটি অনেক ভালো মানের এবং এর মাধ্যমে আপনি ভালোভাবে স্ক্যান করতে পারবেন। প্রতিনিয়ত উইন্ডোজ ডিফেন্ডারটিকে যদি আপনি আপডেটেড রাখেন তাহলে কোন ভাইরাস আপনার কম্পিউটারকে ক্ষতি করতে পারবে না এবং আপনার কম্পিউটার স্লো হবে না।
৪। আপনার কম্পিউটারে যদি র‍্যাম কম থাকে তাহলে সেই কারণে কম্পিউটার স্লো হতে পারে। তাই যদি আপনি আরো ভালো পারফর্মেন্স আশা করেন তাহলে আপনার কম্পিউটারে বাড়তি র‍্যাম যোগ করুন। র‍্যামকে বলা হয় কম্পিউটারের প্রাইমারি মেমোরি। যখনই আমরা কোন প্রোগ্রাম বা ভিডিও কিংবা অডিও ইত্যাদি ওপেন করি তা প্রাথমিকভাবে র‍্যামে সংরক্ষিত হয় এবং সেখান থেকে রান করে। তাই আপনার র‍্যাম যত বেশি হবে প্রোগ্রামগুলো তত ফাস্ট কাজ করবে।

৫। হার্ডডিক্স এর কারণেও আপনার কম্পিউটারটি অনেক স্লো হতে পারে। আপনি যদি অনেকদিন ধরে একই হার্ডডিক্স ব্যবহার করেন তাহলে সেই হার্ডডিক্স এর পারফর্মেন্স দিন দিন কমতে থাকে। তাই আপনার হার্ডডিক্সটি চেক করুন। যদি পারেন তাহলে সলিড স্টেট হার্ড ড্রাইভ ব্যবহার করুন কারন এটার পারফরম্যান্স হার্ডডিস্ক থেকে কয়েক গুণ বেশি। সলিড স্টেট ড্রাইভ অনেকটা র‍্যামের মতো দেখতে হয় এবং এর উপরে মেমোরি চিপ লাগানো থাকে। হার্ডডিস্ক থেকে সলিড স্টেট ড্রাইভের দাম অনেক বেশি কিন্তু এর read-write পারফরম্যান্স হার্ডডিস্ক থেকে অনেক অনেক বেশি।

৬। কম্পিউটার স্টার্ট করার সময় যেসব সফটওয়্যার চালু হয় সেগুলো লক্ষ করুন। কারণ এই সকল সফটওয়্যার কম্পিউটারের গতিকে কমিয়ে দেয়। এজন্য স্টার্ট মেনু থেকে TaskManager টাইপ করুন। এখানে কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় যে সকল সফটওয়্যার গুলো ওপেন হয় সেগুলোর লিস্ট দেখতে পাবেন, তারা কত মেমোরি ইউজ করছে সেটাও দেখতে পাবেন। এখান থেকে অপ্রয়োজনীয় সকল সফটওয়্যারগুলো সিলেক্ট করে End Process এ ক্লিক করুন। তবে End Process করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে জেনে নেবেন যে এটা সেই সফট্ওয়ার কি না। কারণ ভুলভাবে অন্য কিছু End Process করে দিলে আপনার কম্পিউটারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কম্পিউটারটি একবার রিস্টার্ট দিন। তাহলে আর প্রবলেম হবে না।

৭। যদি আপনার কম্পিউটারে অসংখ্য ভাইরাস এবং সফটওয়্যার ইন্সটল থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় তাহলে নতুন করে উইন্ডোজ ইন্সটল করুন। কারণ নতুন করে উইন্ডোজ ইন্সটল করলে ভাইরাস সহ সবধরনের অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে যাবে। যদি পারেন তাহলে হার্ডডিস্কে নতুন করে ফরম্যাট করে পার্টিশন করুন।

৮। প্রতিনিয়ত আপনি যে সকল ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করেন সেগুলোর Cache ডিলিট করুন। কারণ Cache, C ড্রাইভে জমা হয় এবং এর কারনে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। ব্রাউজার এর ধরন অনুযায়ী সেটিংস গুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তাই একটু খেয়াল করলেই আপনি হিস্টোরি অপশনটি খুঁজে পাবেন এবং এখান থেকে Cache মুছে ফেলতে পারবেন।

৯। আপনার হার্ডডিক্স এর পারফর্মেন্স বাড়াতে এবং ব্যাড সেক্টর ঠিক করার জন্য আপনি উইন্ডোজের ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্ট চালাতে পারেন। তবে ৭দিন অথবা ১৫দিন পরপর চালাবেন, প্রতিনিয়ত না। কারণ এতে হার্ডডিক্স এর উপরে প্রেসার পড়ে।

১০। দীর্ঘক্ষন চালানোর জন্যও কম্পিউটার স্লো হতে পারে। এজন্য সমাধান হলো রিস্টার্ট করা। দীর্ঘক্ষন চালালে যে সমস্যাটা হয় সেটা হচ্ছে আপনি যত ধরনের প্রোগ্রাম কিংবা ফাইল ওপেন করেছেন সেগুলো প্রাইমারি মেমোরি অর্থাৎ র‍্যামে জমা হয়ে থাকে। রিস্টার্ট এর মাধ্যমে আসলে সেগুলো র‍্যাম থেকে রিমুভ করা হয়।

[ কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানান ]
অথবা,
Contact Me,
Facebook

No comments

Euro Truck Simulator 2

BANGLADESHI Bus Simulator 3 (BBS3) গেমটি খেলার জন্য কিভাবে ডাউনলোড করবেন এবং কিভাবে সেটিং করবেন : 🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌🚌...

Theme images by lobaaaato. Powered by Blogger.